Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ভোলার ইলিশা ঘাটে ক্ষুদে নৌ-যানে যাত্রী পারাপার !


আগামী নিউজ | ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২১, ০৫:৩৯ পিএম
ভোলার ইলিশা ঘাটে ক্ষুদে নৌ-যানে যাত্রী পারাপার !

ছবিঃ আগামী নিউজ

ভোলাঃ জেলার ইলিশা ফেরিঘাটে ক্ষুদে নৌ-যান দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে জন প্রতি ৪ থেকে ৫শত টাকার বিনিময়ে  ইলিশা টু মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে যাত্রী পারাপারের অভিযোগ উঠেছে ঘাট নিয়ন্ত্রণের মুলহোতা, ভোলা সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১নংকালুপুর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু মিয়ার ছেলে মোঃহারুন মিয়া (৩৫)বিরুদ্ধে।
 
নৌ-পথে প্রতিবছর ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাস ঝুঁকিপূর্ণ মৌসূম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে মেঘনা ও সাগর মোহনার উপকূলীয় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথে সি-সার্ভে সনদ ছাড়া নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী হাট ঘাটে যাতায়াতে করছে বেশকিছু ছোট ছোট নৌযান। যা সি-সার্ভে সনদ ছাড়াই চলাচল করছে। সরকারের  অনুমোদিত যাত্রীপারাপারের জন্য ব্যবস্থা থাকার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলার ও বোটে যাত্রীদের পার হতে বাধ্য করছে মোঃহারুন মিয়া। তবে সে ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে নৌ-পথে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে সাথে সাথে বাড়ছে অনুমোনহীন নৌ-যানের সংখ্যা। বর্তমানে মেঘনা নদীতে চলমান রেড যোন সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সি-সার্ভে সনদধারী নৌ-যান চলাচল নিশ্চিত করার বিধান থাকলে সংশ্লিস্ট প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার অদৃশ্য ইশারায় যথাযথ উদ্যোগ ভ্যাস্তে যাচ্ছে বলে দাবি যাত্রী সাধারণের।
 
সি-সার্ভে সনদ হচ্ছে- যে সনদে লেখা থাকে সংশ্লিষ্ট নৌ-যানটি ঝুঁকিপূর্ণ মৌসূমে নদী বা সাগরপথে চলাচলের উপযোগী নয়। নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর থেকে এ সনদ দেওয়া হয়ে থাকে। এ সনদ না থাকার মানে হচ্ছে নৌ-যানটি নদী বা সমুদ্রপথে চলাচলের উপযোগী নয়। অথচ বাস্তবে ইলিশা ঘাটে দেখা যাচ্ছে সি-সার্ভে সনদ ছাড়াই চলছে টিকটিকির মত ছোট-ছোট কাঠের তৈরি ও ষ্টিলবডি নৌ-যান।
 
এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি যখন ঘাটে পরিদর্শনে যাই তখন কোন অবৈধ ট্রলার যাত্রী নিয়ে পারাপার হতে দেখিনি। কিন্তু শুনেছি এখানকার কিছু অসাধু চক্র ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারপার করেন। এখানে নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা রয়েছে, তারা চাইলে আটক করতে পারেন।
 
বিআইডব্লিউটিএ ভোলার সহকারী পরিচালক মোঃকামরুজ্জামান বলেন, ট্রলার, স্পিড বোট চলাচলের কোন অনুমোদন নেই। যারা এসব ছোট ছোট নৌ-যানে করে অবৈধ ভাবে যাত্রী পারাপার করে থাকেন আমরা তাদের কে আইনের আওতায় আনতে নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের কে বলে রেখেছি।
 
ইলিশা ফেরিঘাটে প্রতিদিন ইজারাদারকে ম্যানেজ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে হারুন একাধিক ছোট ছোট নৌ-যানে করে অবৈধ ভাবে যাত্রী পারাপার করছেন। মো.ইউসুফ হোসেন সুমন, মো.রাশেদ, কবির হোসেন নামের যাত্রীরা এই প্রতিবেদকে জানান, করোনাকালীন সময় সরকার সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখার কারনে আমরা বিকল্প ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টলার দিয়ে জন প্রতি ৫শত টাকার বিনিময়ে হারুনের ট্রলার দিয়ে মজুচৌধুরি ঘাট থেকে ইলিশা ফেরিঘাট এসেছি।
 
যাত্রীদের এমন বক্তব্যর সত্যতা নিশ্চিত করতে ইলিশা ফেরিঘাটের ইজারাদার সরোয়ার মাস্টারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ঘাটে মাঝে মধ্যে টলারে করে যাত্রী পারাপার হয়। শুনেছি ট্রলার মালিক হারুন নাকি যাত্রীদের কাছ থেকে ৪/৫শত টাকা করে ভাড়া নিয়ে থাকেন। আমি এ ঘাটের ইজারাদার হিসেবে হারুন জনপ্রতি ৫০ টাকা করে দিয়েছেন। তবে এসব নৌ-যান চলাচল সম্পূর্ণ অবৈধ।
 
এ ব্যাপারে হারুনের সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭৮০১৩২৯২০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। সত্যতা থাকলে আপনারা আমার নামে নিউজ করতে পারেন।
 
ইলিশা নৌ-ফারির ইনর্চাজ শাহ জালাল এই প্রতিনিধি কে জানান, আমাকে কেউ ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে যাত্রী পারাপারের সুযোগ পাবে না।
আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে