Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রিকশাচালক সেজে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলো পুলিশ


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২০, ০৭:৪৩ পিএম
রিকশাচালক সেজে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলো পুলিশ

সংগৃহীত

ঢাকাঃ মাদকসহ গ্রেফতারের পর পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল আবু বক্কর সিদ্দিক মামুনের। কিন্তু রায়ের পর পালিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সম্প্রতি দেশে ফিরে আবার শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। তাই রিকশাচালক ও যাত্রীর ছদ্মবেশ ধরে মাদক ব্যবসায়ী মামুনকে গ্রেফতারে রাস্তায় নামে পুলিশ। দিনভর চেষ্টায় রাতে হাতেনাতে ফলও পাওয়া যায়। গ্রেফতার হন মামুন।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার একটি টিম পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান নিয়ে আসামি মামুনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার মামুন কোতোয়ালি থানার ঘাটফরহাদবেগ এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি।

Rickshaw-(3).jpg

২০১১ সালে বাকলিয়া থানা পুলিশ ও ২০১৪ সালে চাঁদগাও থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হন মামুন। ২০১৭ সালে বাকলিয়া থানার মামলার বিচার শেষে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর দেশ ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান মামুন। তার নামে চাঁদগাও থানায় দায়ের করা মামলাটি এখনো বিচারধীন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুনকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু মামুন আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। দেশে ফিরে মামুন কোতোয়ালি থানা পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে কোতোয়ালি এলাকা ত্যাগ করে পরিবার নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় থাকতে শুরু করেন।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা কৌশল পরিবর্তন করে আমাদের তিন এএসআই সাইফুল আলম, রনেশ বড়ুয়া ও মো. নুরুন্নবীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে পতেঙ্গা এলাকায় পাঠালে তারা রিকশাচালক ও সাধারণ যাত্রী বেশে মামুনকে গ্রেফতারে সক্ষম হন।’

এ বিষয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মামুনকে গ্রেফতারে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম। তার কল রেকর্ড, ছবি সংগ্রহের পরও তিনি বারবার হাতের নাগালের বাইরে চলে যান। পরে খবর পাই তিনি পতেঙ্গার কাটগড় এলাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। পরে সেখানে তিনজন রিকশাচালক আর যাত্রীর বেশে আমরা সোমবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান নিই।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমরা স্বাভাবিক যাত্রী-চালকের মতোই ভাড়া আদান-প্রদান করি। খুব সাবধানে অভিনয়টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কেউ যেন আমাদের সন্দেহ না করে সেজন্য খুবই সতর্ক ছিলাম। পরে রিকশার পাশ দিয়েই হেঁটে যাওয়ার সময় তার বাসার কাছ থেকেই মামুনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই আমরা।’

আগামীনিউজ/এএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে