Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সৈয়দপুর প্লাজার ফুচকা বাজার শিক্ষার্থী ও নারীদের ভোজন স্পট


আগামী নিউজ | উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ০২:১৯ পিএম
সৈয়দপুর প্লাজার ফুচকা বাজার শিক্ষার্থী ও নারীদের ভোজন স্পট

নীলফামারীঃ সৈয়দপুর প্লাজার ফুচকা বাজার শিক্ষার্থী ও নারীদের ভোজন স্পটে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলা টিফিন প্রিয়ডে এ বাজারে ভীড় করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোজন রসিক নারীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে। স্বাদের ভিন্নতা আনতেই এসব ক্রেতার ফুচকা বাজারে আসা যাওয়া বলে বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সোমবার দুপুরে ফুচকা বাজারে কথা হয় বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির (বিএইউএসটি) শিক্ষার্থী জিদান ও তরিকুল ইসলামের সঙ্গে। তারা জানান, ফুচকা খেতে ভাল লাগে। সময় সুযোগ পেলেই ফুচকা বাজারে চলে আসি।

একই সময়ে কথা হয় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুন নাহারের সঙ্গে। তিনি মায়ের সঙ্গে বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন। কিন্তু মায়ের সঙ্গে বায়না ধরেছে ফুচকা খেয়ে তবেই নিজ বাসা গোলাহাটে ফিরবেন। তাদের কথা, ফুচকার সঙ্গে দই, মিষ্টি ও তেতুলের টক খেতে বেশ মজা লাগে। সঙ্গে বিনোদনের স্বাদও খানিকটা মিটে।

রবিবার সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহ ফুচকা দোকানে বসে কথা হয় গৃহবধূ রোমেনা আকতারের সঙ্গে। তিনি এসেছেন টেকনিক্যাল কলেজ পাড়া থেকে। তার সঙ্গে রয়েছে আরো জনাকয়েক গৃহবধূ। সবার কথা সৈয়দপুরে বিনোদনের জন্য কোন জায়গা নেই। তাই বাসার একঘেয়েমি থেকে খানিকটা মুক্ত শ্বাস নিতে প্লাজার ফুচকা বাজারে এসেছেন। তাদের কথা দলবেধে একটু ঘোরাও হয়, আর মুখে স্বাদের পরিবর্তন আনতে খাওয়া হয় ফুচকা। তাদের মতে ফুচকার সঙ্গে দেয়া টক ও রান্না করার মসল্লার মিশেলে স্বাদের একটা ভিন্নতা থাকে। এতে করে মুখের রুচিও বেড়ে যায়।

ফুচকার উপকরণ বিষয়ে কথা হয় বিসমিল্লাহ ফুচকা দোকানের মালিক আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি জানান, ময়দা আর বেকিং পাউডার মেশানো হয়। পরে তা বেলনার চাপে চওড়া করে গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে কাটা হয়। এরপর তেলে ভাজলে তা ফুচকায় পরিণত হয়। ভোজন রসিকদের পরিবেশনের সময় ফুচকার সঙ্গে দেয়া হয় সিদ্ধ মটরকালাই, তেতুল, মিষ্টি ও দই আর টক। একই সঙ্গে দেয়া হয় মাংস রান্নার বাটা মসল্লা। ফলে স্বাদে ও গন্ধে আসে ভিন্ন আমেজ। ভোজনপ্রিয় শিক্ষার্থী ও নারীরাও বেশ মজা করে তা খান। তবে আগে প্রতি প্লেট ফুচকা ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কারণ হিসাবে তিনি জানান, সব পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম হওয়ায় ফুচকার দামও বাড়ানো হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে ক্রেতারা কোন উচ্চবাচ্য করেন না বলে তিনি জানান।

জিকরুল হক/এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে