Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ইউপি নির্বাচন: সালথায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০


আগামী নিউজ | ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম
ইউপি নির্বাচন: সালথায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০

ছবি: আগামী নিউজ

ফরিদপুর: জেলার সালথায় আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মারিজ সিকদার (৩৫) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। এতে উভয় প্রার্থীর আরও অন্তত ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছে। 

এদিকে নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় অন্তত অর্ধশত বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। তার মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীরের বাড়িও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ও সর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,  যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর বর মোল্লা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রাম্য মাতবর মো. রফিক মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরজ্জামান ওরফে টুকু ঠাকুর। 

রফিক মোল্লা ও নুরজ্জামান টুকু ঠাকুর খারদিয়া এলাকার গত কয়েক বছর ধরে একই দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তাদের বাড়িও একই গ্রামে। গত এক মাস আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিরোধ জেরধরে রফিকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে নুরজ্জামান টুকু ঠাকুর নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর মোল্লা ও তার সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার দলে যোগ দেন। 

এরই জেরধরে শনিবার সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর শত শত সমর্থক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সংঘর্ষচলাকালে কয়েকটি বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।

এতে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্লা, রহিম মন্ডল, রশিদ শেখ, সাকির মোল্লা ও টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এরমধ্যে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের সমর্থক মারিজ সিকদার (৩৫) নামে এক ব্যাক্তি মারা যান। তিনি খারদিয়া গ্রামের তোরাব সিকদারের ছেলে।

এদিকে মারিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়া পর  নৌকার মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বাড়িও ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কি পরিমান গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়া হয়েছে তার হিসেব করা হয়নি। 

এলাকায় উত্তেজনা চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আগামীনিউজ/ হাসান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে