বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাস এবং লোহার রড বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১জন নিহত হয়ছেন। শনিবারের এই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরও তিনজন মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে এবং রবিবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফকিরহাট থানা পুলিশ।
শনিবার বিকাল ৪টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস এবং লোহার রড বোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে নয়জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসটি খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরে যাচ্ছিল এবং ঢাকা থেকে ওই ট্রাকটি লোহার রড নিয়ে খুলনার দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। সেখান থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। অপর তিনটি মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আ ন ম খায়রুল আনাম আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস এবং ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আটজন হলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার লিয়াকত হোসেনের চার মাসের শিশু কন্যা রাফিজা খাতুন, মাদারীপুর জেলার গাছিয়া এলাকার জগদীশ হালদারের ছেলে অপূর্ব হালদার (৩৫), একই জেলার আব্বাস উদ্দিন (৪৫), খুলনা জেলার সাচিবুনিয়া এলাকার শিরু মিয়ার স্ত্রী রুমি আক্তার (৩৫), বরগুনা জেলার তালতলা নিশান বাড়িয়া গ্রামের সগীর খানের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩০), কুষ্টিয়া জেলার বটতলা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), খুলনার দাকোপ উপজেলার ধোপাদী গ্রামের চিত্ত রঞ্জন গাইনের স্ত্রী শোভা রানী গাইন (৪৮) ও একই জেলার পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের দুলাল দাশের মেয়ে পার্বতী দাশ (৩৫)।
আগামীনিউজ/তামিম