নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। সড়কের দুপাশ, বাসা-বাড়ি, হাসপাতালের সামনে, হাট-বাজার ও অফিস আদালতের সামনে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনার পঁচা দুগন্ধে চারপাশের পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, পথচারী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাসপাতালের রোগীরা।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে না। এতে একদিকে মশা মাছির উপদ্রব বাড়ছে, অন্যদিকে, পুরো শহর যেন আবর্জনারস্তুপে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন যাবত এখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে দুগর্ন্ধে এলাকায় বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এই ময়লা আবর্জনা অপসারণ করে শহরবাসীকে একটি সুন্দর পরিবেশ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছেন তারা।
নোয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানান, পৌর এলাকার আইয়ুবপুরে দীর্ঘদিন থেকে শহরের ময়লা নিয়ে রাখা হয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে আবর্জনার গাড়ি সেখানে যাচ্ছে না।
আইয়ুবপুরের বাসিন্দারা জানান, সড়কের পাশে খালপাড়ে দিনের পর দিন পুরো পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এলাকার মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে। যার কারণে লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে নিজেরাই সেখানে ময়লার গাড়ি যেতে দিচ্ছে না।
নোয়াখালী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার প্রনয় কুমার দেব নাথ জানান, এভাবে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলে বায়ু বাহিত রোগ বালাই বেড়ে যাবে। মানুষের শ্বাসকষ্ট বাড়বে, ডায়রিয়া হতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতাল বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে এমন এমন রোগ দেখা দিতে পারে যার প্রতিরোধে কোনো এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান না হলে পৌরবাসী বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা রয়েছে।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্লাহ খান সোহেল জানান, গত ১৭ বছর থেকে আবর্জনার ডাম্পিং করে আইয়ুবপুরে ময়লা আবর্জনা পেলা হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে স্থানীয়দের বাধার কারণে ময়লার গাড়ি সেখানে যেতে পারছেনা। এ বিষয়ে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামীনিউজ/রিয়াদ/মাসুম