ঢাকা: মুখে বড় বড় কথা, সভা সেমিনারে বড় বড় জ্বালাময়ী বক্তৃতা, গায়ে কত রকম ভণ্ডামির পোশাক। বুদ্ধিজীবী, সিভিল সোসাইটি, বিশিষ্ট নাগরিক, নারী নেত্রী, নারী অধিকার কর্মী, মানবাধিকার প্রবক্তা, কত রকম লেবেল। কেউ কেউ এনজিও নামধারী ভণ্ড, ভণ্ডদের ভণ্ডামি রক্ষায় অ্যালায়েন্স, নেটওয়ার্ক কত কিছু!
মিয়ানমারের সম্প্রদায়গত নিধন, গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যা, পৈশাচিক ও বর্বর নির্যাতন এ নিয়ে কেউ বললেন না জোরালো কোন কথা, করলেন না মিছিল মিটিং, মানববন্ধন– যা তারা করে থাকে তাদের নিয়মিত কালচার হিসেবে। আলখেল্লা ওয়ালাদের প্রতিবাদও যা সামান্য। নোবেল বিজয়ী নারী– শান্তির দূত সু চিও চেয়ে চেয়ে দেখলেন তার দেশের সেনা-পুলিশ-বর্ডার গার্ড আর অহিংস পরম ধর্মে বিশ্বাসী ভিক্ষুরা পর্যন্ত শরীক হলো মা বোনদের পৈশাচিক উপায়ে ধর্ষণ-নির্যাতন, অগ্নি সংযোগ, লুটতরাজ, জ্বলন্ত আগুনে শিশু নিক্ষেপের মতো জঘন্য ও বর্বর কাজে। নোবেল বিজয়ী নারী চেয়ে চেয়ে দেখলেন কিছুই বললেন না!
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এত লক্ষ মানুষ মাতৃভূমি আর ঘর ছাড়া নির্যাতিত মানুষের আগমন, রাজনৈতিক দলগুলোও জোরালো কিছুই করলো না!
জাতিসংঘেও হলো না তেমন কোন সিদ্ধান্ত ঐ বর্বরদের বিরুদ্ধে! গণতন্ত্রের কথা আর ভেটো ক্ষমতা কি আস্থার জাতিসংঘ! প্রতিরোধ করতে যখন পারিনি; করতে পারিনি প্রতিবাদও! আসুন তাহলে ঐ বর্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, নারী ও শিশু নির্যাতনকারী ধর্ষকদের অন্তত ঘৃণা করি!!! আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতে যাতে তাদের সুষ্ঠু বিচার হয় তার জন্য জনমত গড়ে তুলি।