ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৩৫ রানে হার বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ৪, ২০২২, ০৮:৩৪ এএম

ঢাকাঃ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট হাতে রান করতেই ভুলে গেছেন। ফরম্যাট বদলাচ্ছে, পোশাক বদলাচ্ছে- তবুও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টেস্ট হোক বা টি-টোয়েন্টি, প্রতিটি ম্যাচের পরেই ব্যাটিং ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। একের পর এক ভুল শটস, ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন জমা হচ্ছে। তবুও এর উত্তর নেই, সমাধান নেই কোনো।

আরো একবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় চোকাতে হলো বাংলাদেশ দলকে। যদিও এদিন ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘খারাপ’ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বোলাররাও। ডোমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পাহাড় জমা করে ক্যারিবীয়রা। ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা। এতে ৩৫ রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।

প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে মাঠে নামে দু-দল। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উইন্ডিজ। ১৮ রানে প্রথম বাঁহাতি ব্যাটার মায়ার্সকে আউট করে চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। ২৬ রানে শামার ব্রুকসকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে চাপ আরও বাড়ান সাকিব আল হাসান। তবে চাপ সামলে উঠতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে রানের চাকা সচল রেখেছেন ব্যাটাররা।

তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন রোভম্যান পাওয়েল। ১৬তম ওভারে এসে সাকিবের ওপর চড়াও হন তিনি। বেদম পিটিয়ে তার এক ওভারে ২৩ রান নেন তিনি।

সাকিবের পর তাসকিনের ওপর চড়াও হয়েছেন পাওয়েল। দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মিশনে নামেন এই ব্যাটার। তাসকিনের প্রথম দুই বলেই মেরেছেন ছক্কা। দুই ছক্কার ঝড় সামলে তাসকিন অবশ্য মোটামুটি ফিরে এসেছিলেন, পরের ৩ বলে দিয়েছিলেন ৫ রান। তবে শেষ বলে আবার চার মেরেছেন পাওয়েল। ২০ বলে পূরণ করেন অর্ধশত। ম্যাচ শেষে পুরস্কারস্বরূপ হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

ইনিংসের শেষ বলেও শরীফুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়েছেন পাওয়েল। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যেন বাংলাদেশের বোলাররা নিরুপায় ছিলেন। যার ফলে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্বাগতিকেরা ঠিকই তুলে ফেলছে ১৯৩ রান। হারিয়েছে মাত্র ৫ উইকেট।

পাহাড়সম রান তাড়া করতে করতে হত রেকর্ড। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে সেটা যে একপ্রকার অসম্ভব ছিল, তা দেখা গেল বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ে। উইন্ডিজ বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলার ব্যাটাররা। এক সাকিব ছাড়া উইকেটে থিতু হতে পারেনি কেউ। তবে মন্থর গতির ক্রিকেট খেলে ৪৫ বলে করেছেন ৫০ রান। এদিন তিনি ক্যারিয়ারের দশম অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এ ছাড়া ম্যাকয়কে ছয় মেরে পূর্ণ করেছেন দুই হাজার ক্যারিয়ার রান। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। শেষ দিকে সাকিব মারমুখী হলেও ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেছে। ৫২ বলে ৬৮ করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

মূলত, ২৩ রাতে ৩ উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরে আর সেই চাপ সামলে ওঠা সম্ভব হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেছে। শেষ অবধি ২০ ওভারে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ। হারায় ৬ উইকেট।

এমবুইউ