শৈলকুপায় মূর্তি ভাঙচুর: রবীন্দ্র ঘোষের ফেসবুক স্টাটাসে বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২১, ২০২২, ০২:৩৯ পিএম
মন্দির পরিদর্শনে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান রবীন্দ্র ঘোষ

ঢাকাঃ গত ৬ অক্টোবর রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনায় তদন্ত শেষে শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাসের নাম জড়িয়ে পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে গত ১৬ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নসহ উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরই পরিপেক্ষিতে ১৯ অক্টোবর (বুধবার) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের (সংখ্যালঘু ও নিপীড়িত মানুষের মুখপাত্র) চেয়ারম্যান রবীন্দ্র ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পলাশ ঘোষ, ডিএসবির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের প্রতিনিধি দল ও আইনজীবী চেয়ারম্যান রবীন্দ্র ঘোষ ফিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ঘটনার মূল রহস্য ও ভাঙচুরকারীর তথ্য তুলে ধরে স্টাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ডাওটিয়া গ্রামস্ত জনৈক চিনিরউদ্দিনের বাড়ীর পাশের ডাওটিয়া হিন্দু কালি মন্দিরের কালি মূর্তি ভাংচুর করেছে  মোঃ আশরাফুল ইসলাম। কালী মন্দিরের সেবাইত সুকুমার মনডল, মোবাইল (০১৭১৬৯৪৯১০০) সৈলকুপা থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে ০৭/১০/২২ তারিখে মামলা করেছেন দন্দবিধি আইনের ২৯৫/২৯৭ ধারা মতে। পুলিশ চিন্নিত আসামি আশরাফুলকে গ্রেফতার না করে অন্য নিরপরাধী লোকদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নিয়ে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করার প্রয়াশে লিপ্ত।  

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে  ঘটনা জানার পর বাদী সূকুমার মনডলের অনুরোধে ডাওটিয়া হিন্দু কালি মন্দিরে গমন করে জানতে পারে যে মোঃ আশরাফুল ইসলাম তার স্বীকার উক্তি মতে ০৬/১০/২২ তারিখে রাত অনুমান ৭ ঘটিকায় উক্ত মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে হাত দিয়া কালি মূর্তীর মাথা ভেংগে ফেলে এবং মাথা অন্য জায়গায় ফেলে দিয়ে হিন্দু ধর্মীয়ে আবেগকে ভুলুন্ঠিত করে। মোঃ আশরাফুল বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের জেরায় স্বীকার করেন যে তিনি আল্লার ইচ্ছাই এই কাজ করেছেন। তার সাথে আর কেও ছিলেন কিনা জিজ্ঞাশা করিলে তিনি বলেন একমাত্র আল্লা ছিলেন। ইহার পর প্রতিনিধিরা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাশক, থানা নিবার্হভ কর্মকতা, থানার অফিসার ইন চার্জ এর সাথে দেখা করে ঘটনার বিবরণ দেন। 

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ধর্ম অবমাননাকারীর এহেন স্বীকার উক্তি মুলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন। অতি সত্তর নায় বিচারের স্বার্থে সাজাা নিচ্ছিত করতে হবে। পাগল সাজানোর পাশাপাশি অন্য কোনো নিরপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে জনগনের সহ-অবস্তানের ধারা বজায় রাখতে হবে। অপর ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে হবে।’

এমএম