মাগফিরাতের দশকে যে আমল বেশি বেশি করা জরুরি

ধর্ম ডেস্ক এপ্রিল ৬, ২০২৩, ১১:৩৫ এএম

ঢাকাঃ আত্মসং‌শোধ‌ন, খোদাভী‌তি ও আত্মসংযমের মাস মাহে রমজান। এ মাসের মূল উদ্দেশ্যই হ‌লো মানুষের মনে খোদাভী‌তি‌র নী‌তি‌তে জীবন পরিচালনায় অনুপ্রাণিত করা। ন্যায় ও শৃঙ্খলার আলোকে পরকালের দিকে নিজেকে সঁপে দেওয়া।

রমজান মাসের প্রথম দশদিন রহমতের। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার অনুগত প্রিয় বান্দাদের‌কে এ দশদিন রহম‌তে সিক্ত ক‌রেন। ফলে এ সময়ে বান্দা নফল আমল বেশি বেশি করে এবং তার সৃষ্টিকর্তার কাঙ্ক্ষিত মঞ্জিলে পৌঁছে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করো।’ (সুরা বাকারা : ১৪৮)

রমজান মাসের দ্বিতীয় দশদিন আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য মাগফেরাতের বার্তা দেন।

একটি হাদিসে মুহাম্মদ (স.) বলেন, হে কল্যাণ অনুসন্ধানকারী আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। হে অকল্যাণ অনুসন্ধানকারী থেমে যাও। (তিরমিযি : ৬৮২, ইবনু মাজাহ : ১৬৪২)

রমজানে দ্বিতীয় দশদিন ক্ষমা পাবার জন্য রয়েছে কতিপয় আমল। যেগুলো বান্দাকে পাপ মার্জনার পথে নিয়ে যায়, সেগুলো হলো-

বেশি বেশি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা- রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তিলাওয়াত শ্রেষ্ঠ ইবাদত। তোমরা কোরআন তিলাওয়াত কর, কারণ কিয়ামতের দিন কোরআন পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে’ (সহিহ মুসলিম)

ক্ষমা প্রার্থনা করা- ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আল্লাহর নির্দেশনা হলো, ‘যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করবে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে; সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু পাবে।’ (সুরা নিসা : ১১০)

বেশি বেশি দোয়া করা- দোয়া একটি উত্তম ইবাদত। এ ইবাদত বান্দাকে কল্যাণ লাভে সাহায্য করে। পাপমুক্তির জন্য দোয়া করলে আল্লাহ সে দোয়ায় সাড়া দেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সূরা আল মু’মিন : ৬০)

দান-সদকা বেশি বেশি করা- দান ও সদকা করা পাপমোচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পাপমুক্ত জীবনের জন্য সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদেরকে দাও তবে তা আরও উত্তম। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা অবগত আছেন। (সুরা বাকারাহ : আয়াত: ২৭১)।

রমজানের দ্বিতীয় দশকে মাগফেরাতের জন্য আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি নেক আমল করার সক্ষমতা দান করুন। আমিন।

বুইউ