তিন পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৮, ২০২২, ১০:৩২ এএম

ঢাকাঃ রাজধানীর জুরাইন এলাকায় মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় সাড়ে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা নং ১১। 

গ্রেফতাররা হলো— মোটরসাইকেল চালক সোহাগ উল আলম রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও  শ্যালক ইয়াসির আরাফাত। সোহাগ নিজেকে একটি নামধারী পত্রিকার সাংবাদিক দাবি করেছেন। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী হোসেন। 

মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলে চার থেকে সাড়ে ৪০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। হামলার শিকার  ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

তিনি জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। 

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেট সড়কের উল্টোদিক দিয়ে স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে আসছিলেন অ্যাডভোকেট নিশাত। এসময় সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ তাদের গতিরোধ করেন। নিশাত নিজেকে অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ইয়াসিন মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এসময় অ্যাডভোকেট নিশাত চিৎকার শুরু করলে পাঠাও ও অটোচালকরা সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।

খবর পেয়ে শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল দত্ত অপুসহ ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। পরে আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই ট্রাফিক ওয়ারী জোনের এডিসি বিপ্লব কুমার বলেন, ইয়াসিন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর কাগজপত্র দেখতে চায় ট্রাফিক পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান ইয়াসিন। এসময় তাকে আটক করে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন।

এমবুইউ