বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

সৈয়দ আকবর হোসেন, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৭:০৪ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

গোপালগঞ্জঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় গোপালগঞ্জে দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতাররী পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুল রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দেযার পাশাপাশি আওয়ামীলীগে স্বাধীনতা বিরোধীরা রয়েছে। এছাড়া মামলার বাদী সরকারি কৌঁশুলী অ্যাডভোকেট দোলেয়ার হোসেন সরদার ও তার পিতা হাসেম সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

ওই সংবাদটি ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ও ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একই পত্রিকায় ছাপা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারী গোপালগঞ্জ আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর এ মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুব্রুরী রুহুল কবির রিজভীকে আসামী করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ২ সেপ্টেম্বর রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।

কিন্তু তিনি আজ মঙ্গলবার মামলার ধায্য তারিখে আদালতের বিচারক হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার জানান, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও তার নিজের এবং তার পিতার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।