ঢাকাঃ দুবাই পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব কিছু নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, অসম্ভব বলে কিছু নেই, বাংলাদেশ পারে না এমন কিছু নেই। দ্রুতই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান পাসপোর্টে আরাভ খান নামে দুবাই যাওয়া রবিউলকে ফেরানো কতটা সহজ? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তাকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয়। আর বাংলাদেশের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বাংলাদেশ সবই পারে।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে শ্বশুরের মগবাজারের বাসায় যান। গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেফতার হন তিনি। এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার কুণ্ডু।
আসামি রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও ১৯ (এফ) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি হিসেবে রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়।
বুইউ