নির্বাচন কমিশন আইন সংসদে উঠছে রোববার

আগামী ডেস্ক জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০৩:১১ পিএম

ঢাকাঃ নির্বাচন কমিশন নিয়োগ বিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উঠছে রোববার (২৩ জানুয়ারি)। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২' সংসদে উত্থাপন করবেন। বিলটি সংসদে তোলার জন্য ওই দিনের কার্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  ​বিলটি তুললে তা আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে।

সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া রোববারের অধিবেশনের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) এ আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে।

ইসি ও সিএসই নিয়োগে যোগ্যতার বর্ণনা করে তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। একইসঙ্গে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে চার সপ্তাহ সময় রয়েছে।

সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের জন্য বিলটির সময় খুব কম দেওয়া হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হওয়ার পরে নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হবে।

ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় এর আগে তৃতীয়বারের মতো ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ইসি গঠন নিয়ে ২০১১ সালে প্রথম সংলাপ শুরু করেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এবারের সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলই।

তবে আইনটি পাসের আগে সব অংশীজনদের মতামত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

আগামীনিউজ/বুরহান