মুরাদের পদত্যাগপত্রে ভুল, হার্ডকপি চাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

ডেস্ক রিপোর্ট ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ০৩:২৫ পিএম

ঢাকাঃ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর পদত্যাগ করলেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তবে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সেই পদত্যাগপত্রেও ভুল লিখেছেন ডা. মুরাদ। এমন পরিস্থিতিতে ই-মেইলে নয়, পদত্যাগপত্রের হার্ড কপি চাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এ পদত্যাগপত্রে বলা হয়, গত ১৯ মে ২০২১ স্মারকমূলে আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।এমতাবস্থায় আপনার কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।

পদত্যাগপত্রটিতে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার তারিখ ২০২১ সালের ১৯ মে উল্লেখ করা হলেও মূলত সেটি হবে ২০১৯ সালের ১৯ মে। সেসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

উল্লেখ্য, নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্লীল ও যৌন হয়রানিমূলক কথোপকথনের কল রেকর্ড, বিকৃত, বর্ণবাদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সম্প্রতি তোপের মুখে পড়েন ডা. মো. মুরাদ হাসান। পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি আজ মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ই-মেইলে পদত্যাগপত্র জমা দেন। 

আগামীনিউজ/বুরহান