ঢাকা : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে ঢাকা মহানগরীর ভেতরে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত থেকে ইঞ্জিনচালিত সকল যানবাহন চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে এবার প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে যান চলাচলের ওপর কড়াকড়ির সময় কমিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রতিটি নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হলেও এবারের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা কমিয়ে ১৮ ঘণ্টা করা হয়েছে। এতে ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের মতোই সব পরিবহন চলতে পারবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে জনসাধারণের ব্যাপক ভোগান্তি হয়। সেজন্য কমিশন আরো শিথিল হতে চেয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মুভমেন্টের সুবিধার্থে সব যান চলাচল বন্ধের পক্ষে অনড়। তাই শিথিলতা আর করা হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই বন্ধ থাকবে গণপরিবহন।
এদিকে আগে ৭৮ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের পরিবর্তে ৫৪ ঘণ্টায় নামিয়ে এনেছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান যান চলাচলে কড়াকড়ির সময় কমিয়ে আনার নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
তবে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনের ওপর উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
এছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
আবার জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য, ওষুধ, খাদ্য ইত্যাদি দ্রব্যাদি সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা উক্তরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
আগামীনিউজ/এস/এনএনআর