সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার, বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ প্রতিবেশী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ধাক্কা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও এসে লাগছে। এতে হতাহতের ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতি সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক প্রশ্নোত্তর পর্বে এই কথা বলেন। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানতে চান, মিয়ানমারের সীমান্তে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ এতে সীমান্তের পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে এবং উত্তেজনা বাড়ছে৷ দেশটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ইনসার্জেন্সির যে ঘটনা, এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতি সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে৷ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখছে৷

আইনমন্ত্রী বলেন, বিজিবি সদস্যদের ধৈর্য ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

আনিসুল হক বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ আজ ৭৮ জন আমাদের দেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের একটি স্কুলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা চালানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া গতকাল মিয়ানমারের গোলাতে আমাদের দেশের একজন মারা গেছেন, ওদের একজন মারা গেছেন এটা সঠিক।

গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এতে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। ইতোমধ্যে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে 

এর আগে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমরা যুদ্ধ চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। আমরা ওখানে শক্তি বাড়িয়েছি। আমাদের পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে আমাদের সীমানায় কেউ কোনোভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক আছি।


এমআইসি/