গণমাধ্যমে ধান্ধাবাজও যুক্ত হয়েছে, এটিই বাস্তবতা : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ১০:৫৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ, এটি রাষ্ট্রের বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি বিশ্বাস করেন বিধায় গত সাড়ে ১২ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্ধাবাজও যুক্ত হয়েছে, এটিই বাস্তবতা।’

গণমাধ্যমকে কেউ নিজের স্বার্থে, কেউ ব্যবসায়িক ‘প্রোটেকশন’ দেওয়ার জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি আরও বলেন, ‘আবার কেউ একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়ে যাচ্ছেন। উনিই মালিক, উনিই সাংবাদিক, উনিই রিপোর্টার। এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তরে ঘুরে বেড়ান। বিজ্ঞাপন কালেকশন করেন এবং সেই বিজ্ঞাপন যেদিন পান সেদিন পত্রিকা ছাপেন। ১০০ পত্রিকা ছাপেন, ১০০ দপ্তরে দেন। এতে ভালো গণমাধ্যমগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, অনেক সময় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এজন্য ব্রিফকেসবন্দি পত্রিকা যেগুলো আসলে ছাপায় না, মাঝেমধ্যে হঠাৎ ছাপায়, সেগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে চালায় না, বরং এটিকে বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য, আবার সেটার জন্য নিউজপ্রিন্টের যে কোটা আছে, সেই নিউজপ্রিন্ট এনে বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য, এটিকেই ব্যবসা হিসেবে নেয়। পত্রিকা চালানো উদ্দেশ্য নয়, মূলত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ক্ষতি করছে। সেই ক্ষতির প্রাথমিক বোঝাটা সাংবাদিকদের ওপর পড়ছে। সুতরাং, এখানে একটি শৃঙ্খলা আনা দরকার। সেই উদ্যোগ আমি গ্রহণ করেছি। আপনাদের ধন্যবাদ যে, আপনারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

এ সময় গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি সাংবাদিক-কর্মচারীদের বীমা করার অনুরোধ জানান ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বীমা করলে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা উপকৃত হবে এবং একই সঙ্গে মালিকের দায়িত্বও পালন করা হবে। সেই সঙ্গে করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমে অসুবিধা হয়েছে। এখন করোনা কেটে গেছে। সুতরাং যাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাদের সবাইকে আবার কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, এটিই আমার বিনীত অনুরোধ।’

‘আজকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি হয়েছে, সেই উন্নয়ন, অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এবং আমরা একযোগে কাজ করতে পারছি বিধায় দেশকেও আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।’

রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার সভাপতি খায়রুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দেন।