বাংলাদেশের বন্ধু, ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং আর নেই

ডেস্ক রিপোর্ট জুলাই ২০, ২০২১, ০৪:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর নিধনযজ্ঞের খবর যিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে, সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত শুক্রবার রুমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যু হয় বলে তার আত্মীয় ক্রিস বার্লাস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, তার হাত ধরে এ দেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতা নতুন মাত্রা পেয়েছিল।

রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করেছে বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে।

সাইমন ড্রিং বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০০০ সালে। এ দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশে টিভি বন্ধ করে দেয়। ২০০২ সালের অক্টোবরে সরকার সাইমন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাঁকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দিলে তিনি চলে যান।

সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নানা দেশের অজস্র সহমর্মী মানুষ। তাদের কেউ কেউ ভূমিকা রেখেছিলেন রাইফেল কাঁধে যুদ্ধের মাঠে, শরণার্থী শিবিরে, কেউবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ ও জনমত গঠন করে। কঠিন সেই সময়ে তাঁরা যে ভূমিকা রেখেছেন নিঃসন্দেহে তা অবিস্মরণীয়। তেমনি একজন ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছিলেন সাইমন ড্রিং।