পাহাড়ের কোলে দুধ সাদা মেঘের খেলা

প্রভাত আহমেদ জানুয়ারি ১০, ২০২১, ১১:৫০ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ দু’পাশে সবুজ গাছ ও ছোট বড় পাহাড়ের সমারোহ দেখে মন আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি নিমিষেই উধাও হবে শীতল বাতাসের পরশে।

পাহাড়ের হাজার ফুট উঁচু চূড়ায় দর্শনীয় পর্যটন স্পট গড়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পূর্ব ঢালে নির্মাণ করা হয়েছে নীহারিকা, চাঁদের আলো, ভলেন্টাইন পয়েন্ট ও তারার আলোসহ বিভিন্ন ঝুলন্ত কটেজ। কটেজগুলোতে যেতে হবে রকমারি ফুলের গাছবেষ্টিত কাঠের সিঁড়ি বেয়ে।

যাত্রা পথে ক্লান্তি এড়াতে কয়েক জায়গায় নেওয়া যাবে বিরতি। নীল ছাউনির এই কটেজগুলোর মেঝেতে শোয়ানো খাট, কাঠ ও বাঁশের মিশেলে তৈরি আলনা রয়েছে। যেগুলোতে নান্দনিকতার ছাপ স্পষ্ট। এছাড়া গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি নানা রকমের পশু পাখির শো-পিচ রাখা হয়েছে বেড়াতে আসা মানুষের জন্য।

সবচেয়ে বেশি প্রশান্তি দেবে পাহাড়ের কোলে ঘেঁষে থাকা কটেজের ঝুলন্ত বারান্দা। বারান্দায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিম শিতল বাতাস স্নিগ্ধতার পরশ ছড়িয়ে দেবে। চোখে প্রশান্তি আনবে সবুজ গাছ-গাছালি দিয়ে আচ্ছাদিত ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়।

কটেজ থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন ভ্রমণ পিপাসুরা। একই সঙ্গে চূড়া থেকে দেখা যাবে সূর্য‍াস্তের দৃশ্যও। সঙ্গে মেঘের সাগর দেকে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। কটেজের বারান্দাতেই এসে আবেশ ছড়িয়ে দেবে মেঘদল।

ভোরের সূর্যোদয় দেখার উপযুক্ত স্থান ভিউ পয়েন্ট। যেখানে স‍ূর্যের সঙ্গে মেঘের ঢেউ আপনাকে উপহার দেবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ।

ব্যস্ততার মাঝে দিনভর নানা শ্রেণির মানুষ দূরদূরান্ত থেকে বেড়াতে আসেন নীলাচলে। অনেকে দিনে এসে দিনেই চলে যান। কেউ তিন চারদিনের জন্য থেকে যান।

নীলাচলের কটেজে থাকতে হলে আপনাকে গুণতে হবে দৈনিক রুম প্রতি ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা। তবে খাবার খেতে হলে বাইরে যেতে হবে। অথবা আনিয়ে নিতে হবে কটেজ কর্মীদের দিয়ে।

আগামীনিউজ/প্রভাত