ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন : প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম

ঢাকাঃ ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এই মামলার আসামিরা হলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ নয়জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. গাফফার হোসেন।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার হাজির হয়ে মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করেন আসামিরা। তারা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৮০/৪০৮/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় বাদীর আর্জিতে।

বুইউ