ই-কমার্স বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিবেদন না পেয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ

আদালত ডেস্ক নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০১:৪৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ইভ্যালিসহ ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ এবং এ খাতের কর আদায়ে নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। 

এছাড়া পৃথক তিনটি রিটের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী তাও জানাতে হবে আদালতকে। এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও সেদিন জানাতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবী বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ করে বলেন, 'মিস্টার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করব না। নোটিশ জারির পরেও তারা রেসপন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেব। 

এরপর আদালত আগামী মঙ্গলবারের (২৩ নভেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে দেশের ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক তিনটি রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চান। এছাড়া ই-কর্মাস খাত থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নীতি আছে কি না তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কারিগরি কমিটি করেছে সে কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপরিধি জানতে চান হাইকোর্ট। 

আগামীনিউজ/বুরহান