রিমান্ড শেষে ইভ্যালির রাসেল আদালতে

ডেস্ক রিপোর্ট সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০২:৩১ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।  

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর তার স্ত্রীর রিমান্ড নামুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। রাসেল ও শামীমা দম্পতিকে ধানমন্ডি থানায় একজন গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু তার বিরোধিতা করেন।

গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।