পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতেই সহিংসতা, নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৮, ২০২৩, ০৪:৫১ পিএম

ঢাকাঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতেই বোমা ও গুলির আঘাতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে তীব্র সংঘাত শুরু হয়।

পঞ্চায়েত ভোট আরম্ভ হতেই সেখানে শুরু হয় বোমা বৃষ্টি, গুলিবর্ষণ, বুথ দখল করা এবং ব্যালট বাক্স বাইরে ফেলার কার্যক্রম। এছাড়া ব্যালট বাক্সে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

সেখানে দেখা গেল সেই পুরাতন ছবি, যেখানে বাইরে ভোটদাতারা দাঁড়িয়ে আছেন, ভিতরে ব্যাপকভাবে জাল ভোট দেওয়ার ফলে দ্রুত ভোটপর্ব শেষ। কোথাও প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ব্যালট ছিনতাই হয়েছে, কোথাও বললেন, কারা ভোট দিয়ে চলে গেছে জানি না। ভোটদাতারা বুথ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকলেন ভোট দেওয়ার দাবি তুলে। কোচবিহারের খাটামারিতে বুথদখল করে ব্যাপক ভাঙচুর চলানো হয়। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারকেও মারা হয়। আরেকটি জায়গায় ব্যালটে পানি ঢেলে দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়ে যায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল মিলিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মৃতদের সবাই তৃণমূল কর্মী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হতেই যে রানিনগরে গোলমাল ও সহিংসতা শুরু হয়েছিল, সেখানে ভোটের দিন সকালেও ব্যাপক তাণ্ডব হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। মোহনপুরে পিস্তল হাতে সংঘাতে লিপ্ত হয় বিভিন্ন পক্ষ।   

এছাড়া কোচবাহিরে খুন হয়েছেন বিজেপি-র পোলিং এজেন্ট। দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হন কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী। সামসেরগঞ্জে ও  ইসলামপুরে বোমায় দুইজন আহত হয়েছেন, নিমতিতায় ব্যালট লুট হয়েছে, দিনহাটায় বুথ তছনছ করা হয়েছে,  রামপুরহাটে বুথে তাণ্ডব, চালানো হয়েছে, বীরভূমে ব্যাপক হারে জাল ভোট দেওয়ার অভিয়োগ উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির পর রাস্তায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ডায়মন্ডহারবারের ন্যাতড়ায় বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। মালদহে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে সিপিএম কর্মীর মৃত্যু।

পঞ্চায়েত ভোটপর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হলো।  

এত সংঘর্ষ, গুলি, বোমার মধ্যে টিভির পর্দায় দেখা গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ  অধিকাংশ জায়গায় মূলত দর্শক হয়েই থেকেছে।  

সূত্র : ডয়চে ভেলে, হিন্দুস্তান টাইমস

বুইউ