সুদানে বিমান হামলায় ৫ শিশুসহ নিহত ১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ১৮, ২০২৩, ১১:০৯ এএম
ছবিঃ রয়টার্স থেকে নেওয়া

ঢাকাঃ উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু। আফ্রিকার এই দেশটিতে সামরিক বাহিনীর সাথে আধা-সামরিক বাহিনীর তীব্র সংঘাতের মধ্যেই বিমান হামলায় প্রাণহানির এই খবর সামনে এলো।

রোববার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শনিবারের এই হামলায় খার্তুমের ঘনবসতিপূর্ণ ইয়ারমুক এলাকার ২৫টি বাড়িও ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিবিসি বলছে, সুদানের সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ জেনারেল দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর হুমকি দেওয়ার পরই এই বিমান হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

আরএসএফ জানিয়েছে, খার্তুমের মেয়ো, ইয়ারমুক এবং ম্যান্ডেলা এলাকায় বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক এই হামলাটি চালানো হয়েছে। অবশ্য সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই। প্রায় দুই মাস ধরে সুদানের পশ্চিম অংশ সংঘর্ষে উত্তাল। সেনাবাহিনী ও আরএসএফের এই লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু বেসামরিক মানুষ। এতে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। রাজধানী খার্তুম, কর্দোফান ও দারফুর অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।


গত শনিবার উভয়পক্ষ ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে সৌদি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছে। যদিও অতীতে এই ধরনের যুদ্ধবিরতি খুব কমই মেনে চলা হয়েছে।

উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে টানা দুই মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান সামনে আনা কঠিন। তবে নিহতের সংখ্যা বেশ ভালোভাবেই এক হাজারের বেশি বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে উভয় পক্ষের সংঘাতে বহু বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন।

জাতিসংঘের মতে, সংঘাতের জেরে সুদানের মধ্যে প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৫ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে মানুষকে যুদ্ধ থেকে পালাতে সুযোগ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেগুলো পালন করা হয়নি।

বুইউ