বিশ্বে করোনায় ১৯৭০ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ৬ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে ৪, ২০২২, ০৮:৫৯ এএম

ঢাকাঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ও শনাক্তের তালিকা লম্বাই হচ্ছে। দুই বছর ধরে তাণ্ডব চালানো ভাইরাসটির প্রকোপ এখন অনেকটা কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৯৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

বুধবার (৪ মে) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ৫১ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ জনের।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ২৩৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২১ হাজার ৫৮১ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৭ জন এবং মারা গেছেন ১২০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬২ জন মারা গেছেন।

ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৭১ জন এবং মারা গেছেন ১৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ২৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৫ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৬৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ ১ হাজার ৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ২৯২ জনের। গত একদিনে অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪০ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ২০ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ হাজার ৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭২১ জন এবং মারা গেছেন ৭৭ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩২ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৫ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৪০১ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। একই সময়ে গ্রিসে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৬২ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কানাডায় ৫৮ জন, ইরানে ১৭ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ জন, বুলগেরিয়ায় ২৭ জন, নিউজিল্যান্ডে ১৮ জন, স্পেনে ৫৩ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৮ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। 

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। এমন অবস্থার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বিশ্ব।

এমএম