ওমিক্রন মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনে নেদারল্যান্ডস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৯:১২ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। বড়দিন উৎসবকে সামনে রেখে ভাইরাসের এই ধরনটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় দোকান, স্কুল, বার, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য পাবলিক ভেন্যুগুলো কমপক্ষে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে বাসা-বাড়িতে বা ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানে দু’জন করে অতিথি অংশ নিতে পারবেন। আর ছুটির দিনগুলোতে চাইলে এই সংখ্যা চারজনে হতে পারে বলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিধিনিষেধ জারি করা ‘অপরিহার্য’ ছিল বলে জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। একই সঙ্গে তিনি দেশের নাগরিকদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।

বিশ্বের দেশে দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নতুন এ ধরনটি ৭৭টি দেশে ছড়িয়েছে। করোনার যেকোনো প্রজাতির চেয়ে এটি দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করছে। সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব দেশকে সতর্ক হতে বলছেন।

এদিকে করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত এ রূপটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলো বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে। তবে ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর নেদারল্যান্ডস সরকারের ঘোষিত এই নিষেধাজ্ঞাই সবচেয়ে কঠোরতম।

স্থানীয় সময় রোববার থেকে নেদারল্যান্ডসে নতুন এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। এর আগে দেশটির সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বৈঠকের পর লকডাউনের ঘোষণা আসে।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেছেন, আবারও লকডাউনে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। এটিই অনিবার্য। কারণ করোনার নতুন এ ধরনটির অভিঘাত দ্রুতই আমাদের ওপর আসছে। আমাদের নাগরিকরা এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন, আমি তা মনে করি।

ওমিক্রন মোকাবিলার অংশ হিসেবে জনসমাগম এড়াতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নেদারল্যান্ডসে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে কারফিউ জারি রয়েছে।

গত বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে দুই কোটি ৯৬ লাখ ছয় হাজার ৭৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২০ হাজার ৪২০ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ১৪ হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত ও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগামীনিউজ/বুরহান