মমতার ভাগ্যনির্ধারণে ভোট চলছে ভবানীপুরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ০৯:৫৮ এএম
প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার জন্য সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার উপনির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসনে সেই উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর বিপরীতে আছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আরও আছেন সিপিআইএম প্রার্থী আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১০ বছর আগে এই ভবানীপুর থেকে জিতেই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা। তার আগে একই আসন থেকে লোকসভার সদস্য হিসেবেও জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ফলে এবারের নির্বাচনে মমতা জিতবেন, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই তৃণমূলে। কিন্তু দলটির কাছে মমতার এই লড়াই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্যবধানের কারণে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে উপনির্বাচন শুরু হয়েছে। আজ ভোট চলছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে এবং দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে।

গত মার্চ-এপ্রিলে আট দফায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলপ্রকাশ হয় ২ মে। এতে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২ (প্রার্থীর মৃত্যুতে শমসেরগঞ্জ বা জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি) আসনের মধ্যে ২১৩টিতে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখে। তবে দল জিতলেও নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন মমতা। তবে মন্ত্রিত্ব রাখতে হলে তাকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এ কারণে পুরোনো ঘাঁটি ভবানীপুর থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ঘরের মেয়ে’।

বিজেপির অনেক হাইপ্রফাইল নেতার পরিবর্তে কেন প্রিয়াঙ্কাকেই মমতার বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে, রয়েছে সেই প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর কোনো কোনো বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা দল ছাড়েননি, উল্টো ধরে রেখেছেন মাঠের সক্রিয়তা। ভোট-পরবর্তী নানা সহিংসতার মামলায় আইনি লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। এসবের পুরস্কার হিসেবেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করা হয়েছে ১৫ কম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ওই আসনের অধীন এলাকায়। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬টি উপনির্বাচনকেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। কেন্দ্র অনুসারে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের দায়িত্বও। একেকজন ডিসির সঙ্গে ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্যের দল প্রতিটি থানা এলাকায় মোতায়েন থাকছে।

এর মধ্যেই বাকি চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ অক্টোবর খরদহ, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষণা ২ নভেম্বর।

আগামীনিউজ/নাসির