রাখাইন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা হবে : মিয়ানমার সেনাবাহিনী

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, ১০:২৬ এএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনী অবশেষে ঘোষণা করেছে যে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনাবলীর সাথে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে মিয়ানমার রোহিঙ্গা শব্দটি কখনোই ব্যবহার করে না। সামগ্রিক বিচারটি করা হবে ২০১৮ সালে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নির্দেশে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে। আর এটি করা হবে প্রকাশ্য কোর্টমার্শাল বা সেনা আদালতে এবং তদন্ত আদালত গঠনের মাধ্যমে।

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সদ্য এতে সম্মতি দেয়ার পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঐ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় বলে দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। ঐ মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নয়, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহীতার কারণে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মিয়ানমারের কথিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন রিপোর্ট অতি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় এবং স্বল্পকাল আগে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। ৪৬১ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে দেখা গেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা দমনের নামে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রাখাইনের মাত্র ৩টি রোহিঙ্গা গ্রামেই প্রায় ৯০০জনকে হত্যা করে সেনা এবং দেশটির অন্যান্য সরকারি বাহিনীর সদস্যরা।

বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ বলছেন, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ কারণে বিচারের নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন একটি কূটকৌশল এবং দায়মুক্তির পথ বেছে নেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

আগামীনিউজ/সবুজ