নতুন পদক্ষেপ নিলো গুগল

প্রযুক্তি ডেস্ক নভেম্বর ৭, ২০২১, ০১:০৫ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় অ্যাপে নিজেদের লেনদেন প্রক্রিয়া যোগ করতে পারবেন ডেভেলপাররা। এতে আর বাঁধা দেবে না গুগল। দেশটির নতুন আইন মেনেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ওই আইন অনুসারে, প্রধান সারির অ্যাপ স্টোর পরিচালকরা নিজ নিজ লেনদেন প্রক্রিয়া ব্যবহারে ডেভেলপারদেরকে আর বাধ্য করতে পারবে না।

এর আগে সেপ্টেম্বরে কার্যকর আইনটি মেনে সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের “অনুরোধ” করেছিল ‘কোরিয়া কমিউনিকেশনস কমিশন’ (কেসিসি)।

তারই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি নিলো গুগল। অগাস্টের শেষে নিজেদের পার্লামেন্টে দেশীয় ‘টেলিকমিউনিকেশন বিজনেস অ্যাক্ট’ -এর সংশোধনী পাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া। এটি সে সময় ‘অ্যান্টি-গুগল আইন’ বলে আখ্যা পায়। সংশোধনীটির মধ্য দিয়ে অ্যাপল ও গুগলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা অ্যাপ ডেভেলপারদেরকে নিজেদের লেনদেন প্রক্রিয়া ব্যবহারে বাধ্য না করতে পারে। “আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি, এবং নতুন আইনের প্রতিক্রিয়ায় আমরা কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছি, এর মধ্যে ডেভেলপারকে দেওয়া ইন-অ্যাপ ডিজিটাল পণ্য ও সেবা বিক্রির সুবিধাও রয়েছে যা তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল প্লে লেনদেনের পাশাপাশি বিকল্প ইন-অ্যাপ লেনদেন প্রক্রিয়ার অপশন যোগ করতে দেবে।” - এক বিবৃতিতে বলেছে গুগল।

ব্যবহারকারীরা বিকল্প লেনদেন প্রক্রিয়া ব্যবহার করলে গুগল অ্যাপ বিতরণের ‘সার্ভিস ফি’ ১৫ শতাংশের বদলে ১১ শতাংশ রাখবে। নিজ নিজ লেনদেন প্রক্রিয়ার খরচ যে ডেভেলপারদেরকেই বহন করতে হবে, এর মধ্য দিয়ে সেটিতেই স্বীকৃতি দিলো গুগল। ডেভেলপারদের জন্য এটি কতোটা লাভজনক হবে তা এখনও ঠিক পরিষ্কার নয়।

গুগল আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছে, বিকল্প লেনদেন প্রক্রিয়া গুগল প্লে-এর লেনদেনের মতো একই সুরক্ষা ও ফিচার না-ও দিতে পারে। কেসিসি জানিয়েছে, গুগলের পরিকল্পনা এ বছরই প্রয়োগ হবে এবং শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য প্রযোজ্য হবে। অক্টোবরে আরেক প্রধান অ্যাপ স্টোর পরিচালক অ্যাপল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে জানিয়েছে, তারা আগে থেকেই নতুন আইন মেনে চলছে এবং এজন্য অ্যাপ স্টোর নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়েজন নেই। কেসিসি বলছে, আরও স্বনির্ভর লেনদেন প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেয় এমন নতুন নীতি আনতে অ্যাপলের দক্ষিণ কোরিয়ান ইউনিটকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

অ্যাপল এতে ব্যর্থ হলে তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে সম্ভাব্য অর্থদন্ড ও অন্যান্য জরিমানার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে তারা।

অ্যাপল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

আগামীনিউজ/শরিফ