দুর্নীতি মামলায় ১১ ঘণ্টা জেরার পর যা বললেন সায়নী

বিনোদন ডেস্ক জুলাই ১, ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

ঢাকাঃ তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। দীর্ঘ সময় পর ইডির দফতর থেকে বের হয়ে এই যুবনেত্রী বলেন যে, জিজ্ঞাসাবাদে শতভাগ সহযোগিতা করেছেন তিনি।

আগামীদিনে তদন্তকারী সংস্থা আবার তাকে তলব করলে আসবেন বলেও জানিয়েছেন সায়নী। তদন্তের প্রয়োজনে ১১ কেন, ২৪ ঘণ্টা তিনি ইডি দফতরে থাকতে প্রস্তুত বলে জানান তৃণমূলের এই যুবনেত্রী। ইডি জানিয়েছে যে, ৫ জুলাই তাকে ফের তলব করা হয়েছে।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিটে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন সায়নী। সায়নীকে ইডির নোটিশ পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলবার। তারপর থেকেই ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার সিজিওতে ঢোকার মুখে অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুব দলের সভানেত্রী জানিয়েছেন, তিনি দলের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থা ইডি তাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডেকে পাঠালেও তিনি এসেছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করবেন।

ইডির দফতর থেকে বের হয়ে সায়নী বলেন, ‘আজ প্রাথমিক কিছু নথি নিয়ে ডেকেছিলেন। এর মধ্যে আবার তলব করবেন। বলেছেন কিছু নথির ডিটেইল আনতে। আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আশা করছি, তারা সন্তুষ্ট। তদন্তের সুবিধার জন্য আমাকে যদি একশো বার আসতে হয়... আজ এখানে আমি ১১ ঘণ্টা ছিলাম। যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টাও থাকতে হয় তদন্তের স্বার্থে, আমি অবশ্যই থাকব। আমি সহযোগিতা করছি। আমাকে আরও একবার আসতে হবে। কবে আসতে হবে ওরা জানিয়ে দেবেন।’

সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ইডি দফতরে অভিনেত্রী-নেত্রীকে তার সম্পত্তি এবং লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিয়োগ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ব্যাংকের নথি, আয়কর রিটার্ন, সম্পত্তির নথি লেনদেনের তথ্য আনতে বলা হয়েছিল সায়নীকে। বেশ কিছু নথি তিনি এনেছিলেন।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম যুবনেত্রী সায়নীকে। নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার এবং বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তার পরিচয় নিয়ে এর আগে জল্পনা হয়েছে। পরে অবশ্য সায়নী সেই খবরকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের যুবশাখার সভানেত্রী সায়নী। রাজ্যে এই মুহূর্তে অন্যতম বড় মামলা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে তাকে ডেকে পাঠানোর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই দলের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তৃণমূল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য দেয়নি।

তবে শুক্রবার দলটির তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল বলেন, ‘তদন্তের মূল বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু ভোটের আগে সময় দেখলে সন্দেহটা হয়। ডাকার উদ্দেশ্যটা কী? যখন পুরোদস্তুর ভোটের প্রক্রিয়া চলছে, সায়নী নিজেও ভোটপ্রচারে ব্যস্ত তখন তৃণমূলের ভোটটাকে বিঘ্নিত করার জন্য এই ধরনের ডাকাডাকি।’

নিয়োগ দুর্নীতিতে মেয়েকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে সায়নীর পরিবারও সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। সায়নীর বিক্রমনগরের আবাসনে তার খোঁজে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সায়নীর বাবার। যিনি পেশায় একজন প্রোমোটার। তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু বলার নেই।

বুইউ