প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১২:০১ পিএম

ঢাকাঃ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের ঘটনা শোনা যায়নি। করোনা মহামারির পরবর্তী দুই বছর পর এবার পূর্ণ সিলেবাসে শতভাগ নম্বরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। করোনায় ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে শিক্ষার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনিটরিং করবে। সুতরাং কোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ভুল-ভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন বিতরণের দুই একটা ঘটনা ঘটে যায়। যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে এবার প্রশ্ন বিতরণে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ কম। আশা করি পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা তাদের যেন ভুল না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবেন।


অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। অভিভাবকদের বলব, সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রিক অনৈতিক কোনো কিছুতে উদ্বুদ্ধ করবেন না। শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে ভাল রাখুন, কোনো ধরনের চাপে রাখবেন না।

মন্ত্রী বলেন, করোনার পর এবার যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা সার্বিক প্রস্তুতির একটি সময় পেয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রিক সার্বিক বিষয়গুলো গত বছর আমরা আরেকটু এগিয়ে আনতে পারতাম কিন্তু সে সময়ে হঠাৎ বন্যার কারণে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছে। গত বছরের থেকে এবার আমরা এগিয়ে এনেছি, সামনে বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী সংখ্যা ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। 

এবছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র তিন হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র দুই হাজার ২৪৪টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।

এবছর পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টায় এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুইউ