মাধ্যমিকে ভর্তির লটারি আজ, ফল জানবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ০৯:২৮ এএম
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির লটারি আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এই লটারি ১০ ডিসেম্বর হবার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে বেসরকারিতে আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার দুপুর ২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ভর্তির লটারির আয়োজন করা হবে। স্কুলে ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd/) লটারির ফল দেখা যাবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এবারের লটারিতে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে ৫.৮ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি। 

এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসন কোটায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবেন মাত্র ৪১ শতাংশ আসনে।

গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সরকারি স্কুল ভর্তিতে নীতিমালা জারি করে প্রজ্ঞাপন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

এতে দেখা যায়, এবার প্রথমবারের মতো ২ শতাংশ সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষার দপ্তর-সংস্থার কর্মীদের সন্তানদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার কিংবা তাদের ছেলে বা মেয়ের পরিবারের সন্তানরা পাবে ৫ শতাংশ, কেচমেন্ট এরিয়ায় বসবাসরত শিক্ষার্থীরা ৪০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থী ২ শতাংশ কোটা। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সব মিলিয়ে মোট আসনের শতকরা হিসেবে ৫৯ শতাংশ আসন বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষিত থাকছে। 

আগামী বছরের জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ নভেম্বর, যা চলে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বুইউ