এলপিজির মূল্য প্রতি বোতলে ৬৫ টাকা বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ১০:৩৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ অবশেষে এলপিজির দাম নির্ধারণে গণশুনানি করেছে জ্বালানীর দাম নির্ধারণী সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ সময় ব্যবসয়ীরা এলপিজির ‘যুক্তিসঙ্গত দাম’ নির্ধারণ করা না হলে ব্যবসা বন্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছে। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এলপিজির বোতল প্রতি ৬৫ টাকা দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

অন্যদিকে এলপিজির দাম কার্যকরের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম। শুনানী অনুষ্ঠিত হলেও বিইআরসি দাম নির্ধারণ করেনি। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিইআরসি আরও মতামত নেবে। পরবর্তীতে দামের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানায়।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গণশুনানী চলে।

শুনানিতে বেসরকারি এলপিজি কোম্পানিগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকোর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মুনতাসির আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের সেলস হেড জাকারিয়া জালাল, ওমেরার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শামসুল হক আহমেদ, পেট্রোম্যাক্সের পরিচালক নাফিস কামাল, টোটাল গ্যাসের মনজুর মোর্শেদ।

তারা বলেন, সৌদি সিপির দাম সমন্বয় করে কমিশন এলপিজির যে দাম নির্ধারণ করেছে সেই বিষয়ে কিছুই বলার নেই। কিন্তু এলপিজি আমদানির পর দেশে পরিবহন, বোতলজাতকরণ, মজুতকরণ এবং পরিচালন ব্যয়গুলোর যে চার্জ কমিশন নির্ধারণ করেছে তা অনেক কম। একারনে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছে। এই লোকসান বড় কোম্পানীগুলো সামাল দিতে পারলেও ছোট কোম্পানিগুলো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নিয়ে গণশুনানি হয়। গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। ব্যবসায়ীদের আবেদনের মুখে মাত্র ৭ মাসের মাথায় সোমবার আবারও গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দুই দফায় তারিখ দিয়েও প্রথমবার লকডাউন এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশের কারণে গণশুনানী স্থগিত হয়।