সিলেট সিটি নির্বাচন

ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির জোর দেখানো হচ্ছে : জাপা প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট জুন ২১, ২০২৩, ১২:১৪ পিএম

সিলেটঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির জোর দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোট দিতে এসে দেখলাম এখানে পেশিশক্তির জোর দেখানো হচ্ছে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে কে বা কারা ভেতরে গিয়ে আমাদের ভোটারদের ধমকাচ্ছে, হয়রানি করছে। অনেক কেন্দ্র থেকে আমাদের ভোটারদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর আনন্দ নিকেতন ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘন ঘন ফোন আসছে, এজেন্টদের ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওরা (আওয়ামী লীগ) ভোট কারচুপির জন্য নীলনকশা করেছে। ১৯০টি কেন্দ্রেই আমি এজেন্ট দিয়েছি। অনেক সেন্টার থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে যদি পেশিশক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু হবে না।

এর আগে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রের ৩৬৪টি বুথে একযোগে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবার বর্ধিত এলাকাসহ মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন।

সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছেন। দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম।

অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন।

বুইউ