সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনে উদ্ধার অভিযান চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম মার্চ ৫, ২০২৩, ১০:৫৪ এএম

চট্টগ্রামঃ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।

রোববার (৫ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও কুমিরা স্টেশনের দুটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত হতাহত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘শনিবার রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিতের পরও সারারাত ঘটনাস্থলে আমাদের টহল দল ছিল। রোববার সকাল ছয়টা থেকে আমাদের উদ্ধার কাজ আবার শুরু হয়েছে ৷ আমরা সেখানে সার্চ করছি এখন।’

এছাড়াও শনিবারের বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত ‘হ্যাজমট টিম’ ঘটনাস্থলে এসেছিল বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ২০ জন ভর্তি হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিহত সেই ৬ জনই। তবে আহত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে চারজন ভর্তি আছেন বলে জানতে পেরেছি। সেই হিসেবে এখন আহত ২৪ জন। তবে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২০ জনের মধ্যে একজন হাসপাতাল ছেড়েছেন।’

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।

বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। হয় যান্ত্রিক ত্রুটি, অথবা ব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।

বুইউ