শাবি শিক্ষার্থী খুনে ব্যবহৃত চাকু ও মোবাইল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৭, ২০২২, ০১:০৬ পিএম

সিলেটঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে বুলবুল হত্যায় আটক রাজমিস্ত্রি মো. কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ছুরি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। কামরুল ইসলামের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের টিলাগাও এলাকায়। বুলবুল হত্যার রাতেই কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল জালালাবাদ থানা পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, শাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করেছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কয়েকজনকে আমাদের জিম্মায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, যাতে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়। সময়মতো আমরা তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করব। আপাতত তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে আর কিছু বলতে চান না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

২০১৬ সালে নরসিংদী সদরের কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৮ সালে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ থেকে জিপিএ-ফাইভ পাওয়া বুলবুল একই বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজিকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাতে আহত হন ২২ বছর বয়সী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হক বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

তিনজনের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ তাদের নাম প্রকাশ করেননি। তদন্তের স্বার্থে আপাতত তাদের নামপরিচয় জানাচ্ছে না পুলিশ।

এমবুইউ