চলন্ত ট্রেনেই জন্ম নিলো ফুটফুটে সন্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৯, ২০২২, ০৮:৪৩ এএম
সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাটঃ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী চলন্ত একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে জেসমিন আক্তার (২৬) নামের এক প্রসূতি ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শনিবার (১৮ জুন) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে সান্তাহার স্টেশনের অদূরে রাণীনগর এলাকায় সন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

ওই প্রসূতি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী নানাহার গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। বর্তমানে নবজাতক শিশু ও মা উভয়েই  সুস্থ আছেন। দুই বছর বয়সের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির।

বর্তমানে মা ও শিশুকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক ও মা দুজনই সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রসূতি ও তার স্বামী ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন। তাদের গন্তব্য জয়পুরহাট স্টেশন। তবে ট্রেনটি নাটোর স্টেশন পার হয়ে সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছার আগে রানীনগর এলাকায় আনুমানিক ৫টা ২২ মিনিটে প্রসূতির প্রসববেদনা শুরু হয়। তখন তারা বিচলিত হয়ে পড়েন। 

তবে ট্রেনের ওই কক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাফসান জানী বসেছিলেন। তিনি এগিয়ে আসতে আরেক শিক্ষিকা এগিয়ে আসেন। তাদের প্রচেষ্টায় চলন্ত ট্রেনেই ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন জেসমিন। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জয়পুরহাট রেলস্টেশনে নামেন তারা। এরপর ওই চিকিৎসক তাদের জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান।

ওই প্রসূতির স্বামী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার একটি টেক্সটাইল মিলে আনসার পদে কর্মরত ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে কোনো কাজ করছি না। আমার স্ত্রী একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সে গর্ভবতী হওয়ার পর আর কাজ করতে দেইনি।

তিনি বলেন, বাচ্চা ডেলিভারির আরও ৮ দিন বাকি ছিল। এজন্য আমরা বাড়িতে আসছিলাম। বাড়িতে এসে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনেই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ওই ট্রেনের একই কক্ষে থাকা একজন ডাক্তার ও শিক্ষিকার সহায়তায় ভালোভাবে সন্তানের জন্ম হয়। ওই ডাক্তার ওষুধ কিনে দিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে। আমার ছেলে ও স্ত্রীর জন্য আপনারা দোয়া করবেন।

রেলওয়ের দিনাজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঞা বলেন, ট্রেনে সন্তান জন্ম দেওয়া ওই প্রসূতি জয়পুরহাট স্টেশনে নেমে গেছেন। বর্তমানে তারা জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নবজাতক এবং মা দুজনই সুস্থ আছেন।

এমবুইউ