ফাঁসিতে ঝুলে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী-শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর মে ২৪, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরঃ জেলার কালিয়াকৈরে প্রেম করে বিয়ে করার দেড় বছর পর গৃহবধূ মুক্তা দাসের (১৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার চাপাইর গ্রামের ভজন দাসের মেয়ে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ীতে এ ঘটনা  ঘটে। কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল হোসেন ঝুলন্ত মরদেহ  উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এসআই রকিবুল হোসেন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের নেপাল দাসকে প্রেম করে বিয়ে করে মুক্তা দাস। বিয়ের পর নেপালের বাবা-মা তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী নেপাল, শ্বশুর-শ্বশুড়ি ও নেপালের বোন মুক্তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। প্রেম করে বিয়ে করলেও বিয়ের কয়েকদিন পর নেপাল দাস মুক্তা দাসকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারছিল না। এসব নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকও হয়েছে। পরে নেপাল ভারত যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী মুক্তা দাসকে চাপাইর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। মুক্তা দাস স্বামী নেপাল দাসকে ফোন দিলে জানায় সে ভারত চলে আসছে। এ মুহুর্তে সে দেশে আসতে পারবে না। এরপর থেকে মুক্তা দাস প্রায়ই তার বাবার বাড়ি থাকতেন। সোমবার (২৩ মে) মুক্তার মা দিপালী দাস মেয়ের শ্বশুরকে খবর দিয়ে মুক্তাকে নিয়ে যেতে  বলে। মুক্তাকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই স্বামী নেপালের ছোট বোন তাকে  বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ দরজা না খোলায় ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পায় মুক্তা ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

মোক্তার হোসেন/এমবুইউ