ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে নিলো প্রতিপক্ষরা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ মার্চ ১১, ২০২২, ১২:৩৪ পিএম

ঝিনাইদহঃ জেলার কালীগঞ্জে হযরত আলী নামে এক যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগও পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে যশোরে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— উপজেলার ৫ নম্বর শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও বড় শিমলা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে হযরত আলী, আমজাদ আলীর ছেলে জামির হোসেন ও জহির হোসেন এবং বাদু মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামের স্কুল মাঠের কোণায় বসে ছিলেন হযরত আলী। এ সময় গ্রামের আসাদুল ইসলাম, সোহেল হোসেন ও ফজেরসহ কয়েকজন এসে তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে তাকে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে হযরত আলী স্কুল মাঠের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানেও হামলা চালায় তারা। হযরত আলীকে ঠেকাতে এগিয়ে এলে জামির, জহির ও জাকিরকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। এসময় কুপিয়ে হযরতের ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে ও দুই পায়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার সাথে জড়িত ও আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

আহত জমির হোসেন জানান, হযরত আলীকে ঠেকাতে গিয়ে তাদের দুই ভায়ের উপরেও হামলা চালানো হয়েছে। আলীর ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে। দুই পায়ের অবস্থাও খারাপ।

৫ নম্বর শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরী জানান, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যারা হামলা করেছে তারা সবাই পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক ছিল। আর হযরত আলী ছিল বিজয়ী মেম্বর প্রার্থীর সমর্থক। আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী কর্মী।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আজগর আলী জানান, আহত ৪ জনের মধ্যে তিনজনকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে হযরতের অবস্থা গুরুতর। তার ডান হাতের কব্জি কেটে পড়ে গেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, একজনের হাতের কব্জি কেটে ফেলার কথা শুনেছি। হামলার ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এমবুইউ