লঞ্চ থে‌কে লা‌ফি‌য়ে স্ত্রীসহ প্রা‌ণে বাঁচ‌লেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০৩:০৪ পিএম
হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। ছবিঃ সংগৃহীত

ঝালকাঠিঃ সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অল্পের জন্য বেঁচে ফিরেছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ ও তার স্ত্রী। এ ঘটনায় ইউএনওর স্ত্রী উম্মুল ওয়ারা আহত হয়েছেন। তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান জানান, ঢাকা থেকে অফিসিয়াল কাজ সেরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনা আসছিলেন ইউএনও আল মুজাহিদ। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। এসময় অনেকে নদীতে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারাও লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান।

মেহেদী হাসান আরও বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন।

ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, ঢাকা থেকে অফিসিয়াল কাজ সেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার আসছিলেন তিনি। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। অনেকেই নদীতে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারাও লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায় এবং হাতেও প্রচণ্ড আঘাত পান। অবস্থা খারাপ দেখে নিজের কাগজপত্র গুছিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে নদীতে লাফ দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এ ছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন। শিশু, বৃদ্ধ ও নারীর বেশি মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরেকটু মাঝনদীতে এই আগুনের সূত্রপাত হলে কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হতো না।

তিনি জানান, আমি এখন সুস্থ আছি। স্ত্রীর পা ভেঙে গেছে। তবে সুস্থ আছে। আমরা এখন সার্কিট হাউজ থেকে পাথরঘাটার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছি।

আগুনের সূত্রপাত প্রসঙ্গে ইউএনও জানান, ভোর রাতে হঠাৎ ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগামীনিউজ/বুরহান