তিনদিন পর সীমান্তে পড়ে থাকা সেই ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৫, ২০২১, ০৭:৩৩ পিএম
ফাইল ছবি

সিলেটঃ জেলার কানাইঘাটের ডনা সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের তিনদিন পর শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিএসএফ-বিজিবির অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সন্ধ্যায় কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।

নিহতরা হলেন-কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এরালীগুল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আসকর আলী (২৬) ও একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আরিফ হোসেন (২২)।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এতথ্য নিশ্চিত করেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৫টায় বিজিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মরদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডনা সীমান্তের ১৩৩১ নম্বর পিলারের ভারত অংশে বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে দুই বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানান। এরপর থেকে তিনদিন ধরে নো ম্যানস ল্যান্ডে (শূন্যরেখা) মরদেহ দুটি পড়ে ছিল। তিনদিন ধরে সেখানেই পড়ে থাকায় মরদেহ দুটি পচে ও ফুলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে সীমান্তে দুজনের মরদেহ উদ্ধারে বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে বিএসএফ। এমনকি মরদেহগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, মরদেহগুলো ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।

মরদেহগুলো যে স্থানে পড়ে ছিল সেই জায়গা কোন দেশে পড়েছে তা চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। শুক্রবার বিকেলে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পর্যায়ে আরেক দফা পতাকা বৈঠকের পর দুটি মরদেহ নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করে বিজিবি। পরে মরদেহ দুটি জিও ব্যাগে করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সোহেল আহমদের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নিহত আরিফের পরিবারের এক সদস্য বলেন, স্থানীয় লালবাজারে যাওয়ার কথা বলে বিকেলে আরিফ ও আসকর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। ডোনা সীমান্ত এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে তারা শুনেছেন আসকর ও আরিফ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এসময় তাদের ওপর গুলি করে বিএসএফ। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেলে তাদের মরদেহ সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ফেলে রাখা হয়।

আগামীনিউজ/শরিফ