কুয়াকাটায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পুলিশ হেফাজতে

কলাপাড়া (পটুয়াখালি) প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০২১, ০৮:২৯ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

পটুয়াখালী: কুয়াকাটায় বুশরা(২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। 

শনিবার গভীর রাতে শশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

বুশরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের আ: সোবহান শরীফের মেয়ে এবং কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড খাজুরা এলাকার ইয়াকুব খন্দকারের স্ত্রী।

মৃতের চাচা মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানায়, ২০১৮ সালের বুশরার বিয়ে হয়। তখন থেকেই তার সঙ্গে স্বামী ইয়াকুবের প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রায় সময়ই তাকে মারধর করতো তার স্বামী। শনিবার বিকেলে বুশরাকে মারধর করে তার শশুর বাড়ির লোকজন এই কথা বুশরা তার বাবাকে জানালে  বুশরাকে বাড়িতে আনার জন্য  বাবা গেলে জামাই মেয়েকে না দিয়ে উল্টো গালাগালি করে শ্বশুরকে তাড়িয়ে দেয় এবং  সন্ধ্যার পরে (স্বামী)  ইয়াকুব ফোন করে চাচাকে জানায়, আপনার ভাতিজিকে আমি রাগ হয়ে লাঠি দিয়ে কয়েকটা আঘাত দিয়েছি তাতেই ও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বুশরার শাশুড়ি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অজু করতে বাইরে গিয়েছিলাম, এসে দেখি ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ। পরে আমার নাতি সুমাইয়ার সহায়তায় জানালার গ্রিল ভেঙে দেখি বুশরা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে, এরপর রশি কেটে দিয়ে নিচে নামিয়ে লোকজন ডাক দেই।

কুয়াকাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিব শরীফ  গনমাধ্যমকে জানায়, আমি খবর পেয়ে এসে দেখি মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃত বুশরার ১৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী ইয়াকুবকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আগামীনিউজ/ হাসান