ঝিনাইদহে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

এম বুরহান উদ্দীন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ০৬:২১ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঝিনাইদহঃ জেলার মহেশপুর উপজেলার মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে হাসানুজ্জামান (৪০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সালিশ বৈঠক থেকে মহেশপুর থানা পুলিশ আটক করেছে। পরে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে ঝিনাইদহ আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক সলেমানপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ও সলেমানপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ন্যাপা ইউনিয়নের সলেমানপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হাসানুজ্জামান ১৫-১৬ দিন আগে ওই মাদ্রাসার দু’শিশু শিক্ষার্থীকে পৃথক দিনে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি না বলার জন্য হুমকী ধামকী দেয়। শিশু দুটি ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের কাছে চাপা রাখে। অবশেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এক শিশু ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে জানায়। এরপর অপর শিশুও তাকে একইভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ঘটনা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এইনিয়ে সোমবার রাতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকাবাসী কওমী দারুল উলুম মাদাসা প্রাঙ্গণে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। খবর পেয়ে মহেশপুর থানার এসআই ইউনুস আলী রাত ১০ টার দিকে ওই সালিশ বৈঠকে হাজির হয় এবং অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হাসানুজ্জামানকে আটক করে। 

মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান জানান, তারা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন দুই শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হাসানুজ্জামান যৌন নির্যাতন করেছেন। এ বিষয়ে তার বিচারের জন্য সোমবার রাতে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। সেখান থেকে মহেশপুর থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের পরিবার এ ব্যাপারে পৃথক ২টি মামলা করেছে। যার মামলা নং ৫২ ও ৫৩ তারিখ-২১/০৯/২১ইং। মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষককে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।