কালীগঞ্জে ১৪ ভূমিহীনের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বরাদ্দের ঘর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি আগস্ট ২৯, ২০২১, ০২:২৫ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
লালমনিরহাটঃ মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনায় সারাদেশের ন্যায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় মুজিববর্ষের ঘরে হাসি ফুটেছে ৪০০ পরিবারের। কিন্তু জরাজীর্ণ অবস্থায় বসবাস করলেও ভূমিহীন ১৪টি পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় পাননি সরকারি বরাদ্দের ঘর। 
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম ১ নং ওয়ার্ডের এসব ভূমিহীন পরিবারের জরাজীর্ণ বসবাসের চিত্র। তারা দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে জরাজীর্ণ ঘরে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। কারন কখন যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ উঠে, এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে জীবনযাপনই যেন এসব ভূমিহীনদের নিয়তি! এরা সকলেই ভূমিহীন থাকেন খাস জমিতে। এরাও দেখেছিলো মুজিবর্ষে নতুন ঘরের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তালিকা তৈরীতে সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় তাদের স্বপ্নই রয়ে যায়।
 
সুবিধা বঞ্চিতদের মধ্যে মায়া বেগম বলেন, আমাদের নিজের কোন জায়গা জমি নেই। মুজিবর্ষে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়েছেন। ঘর পাওয়ার আশায় অনেকের সাথে যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি আমাদের। আমরা ভূমিহীন হয়েও আমাদের কপালে জোটেনি সরকারের এই ঘর। বসবাসযোগ্য ঘর তুলে সুখে শান্তিতে রাত কাটাবো সেই সামর্থও নেই আমাদের। তাই জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নিকট সরকারী ঘর পাওয়ার আকুতি সরকার যদি আমাদের ঘর দিতো,তাহলে সন্তানদের নিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম।
 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ১৫০ এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৫০ মোট ৪০০ ঘর নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা নতুন ঘরে বসবাস শুরু করেছেন।
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি জানা নেই, তবে তারা আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
 
এ বিষয় জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন, তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তারা প্রকৃত ভূমিহীন হলে আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে ।