ভোলায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নববধূ  উধাও

মহিউদ্দিন ,ভোলা  প্রতিনিধি জুলাই ১৯, ২০২১, ১০:৪৭ পিএম
ছবিঃ সংগ্রহিত

ভোলাঃ  ভোলা পৌরসভার পৌরকাঁঠালী ৮নংওয়ার্ডের তানিয়া নামের নববিবাহিতা বধু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল ২০২০  ইং তারিখে মুসলিম রীতি নীতি  অনুযায়ী ভোলা সদর উপজেলার পৌর কাঁঠালী ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ছিদ্দিক এর কন্যা তানিয়া (২২)এর সাথে 

 লালমোহন উপজেলার গজারিয়া  ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কচুয়াখালী গ্রামের মোঃআজিজল হকের পুত্র মোঃহাছান(৩১) এর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।

উল্লেখ্য বিয়ের দিন ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার সমপরিমান নগদ অর্থ, স্বর্নলংকার  পরিশোধ করা হয় এবং 

তানিয়া কে আনুষ্ঠানিক ভাবে লালমোহনে স্বামীর বাড়ি তুলিয়া নিয়ে যায়।পরবর্তীতে নববধূ তানিয়া  বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

এদিকে হাছান একটি  প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে ঢাকায় থাকতেন।

তাই স্ত্রী তানিয়া বাবার বাড়ি ভোলায় থাকতে পছন্দ করতেন বিদায় হাছান শ্বশুর বাড়িতে ছুটি নিয়ে মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত (১৭জুন)তানিয়া বেগম বাবার বাড়ী থেকে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর বাবার বাড়িতে ফিরে না আসলে গত (১৮জুন)তানিয়ার বাবা মোঃছিদ্দিক ভোলা মডেল থানায় নিখোঁজ সংবাদ প্রসঙ্গে সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং-৭৯৬

এদিকে এমন সংবাদের ভিত্তিতে, হাছানের পিতা আজিজল হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২১/০৬/২০২১তারিখে তানিয়া সহ ৫ জনকে আসামি করে ভোলা বিজ্ঞ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ১৪৩/৩৭৯/৪৯৪/৪০৬/৪২০ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং এম.পি ২৫২/২১ মামলাটি সিআইডি তে তদন্তের জন্য রয়েছে। 

সরেজমিনে গেলে তানিয়ার বাবা ছিদ্দিক জানান, আমার মেয়ে তানিয়া কে তার পছন্দের ভিত্তিতে পারিবারিক ভাবে আমরা বিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে তানিয়া জামাই কে এরিয়ে চলতেন।হাছান আমাদের বাড়ি আসলে মাঝে মধ্যে তানিয়ার সাথে জামাইর প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।তার পরিপেক্ষিতে তানিয়া গত ১৭জুন বাড়ি থেকে বন্ধুর বাড়ি যাবে বলিয়া চলে যায় কিন্তু বাড়িতে ফিরে না আসলে আমি গত ১৮জুন ভোলা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।তানিয়া এখন কোথায় আছেন আমরা কেউ জানিনা।

এ ব্যাপারে তানিয়ার স্বামী হাছান সাংবাদিকদের জানান, আমি পছন্দ করে পারিবারিক ভাবে তানিয়া কে বিয়ে করেছি, কিন্তু সে আমার দেওয়া নগদ টাকা,স্বর্নঅলংকার সহ প্রায় তিন  লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করে চলে যায়।গত (১৭জুলাই)তানিয়া আমার বরাবর  গজারিয়া পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠালে তা আমি গ্রহন করি নাই।

ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান,তানিয়ার  নিখোঁজ সংবাদ প্রসঙ্গে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্হা নিবো।