সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর,

সেনা সদস্য স্বামীর নির্দেশে গণধর্ষণের শিকার স্ত্রী: গ্রেফতার ৫

মো.বাবর আলী, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জুন ২২, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
ফাইল ফটো
নড়াইলঃ জেলার কালিয়ায় সেনাসদস্যের নির্দেশে নিজ স্ত্রীকে গনধর্ষনের ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা করেছেন ধর্ষনের শিকার ঐ সেনাসদস্যের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ সেনাসদস্য রিপন মোল্যা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
 
গ্রেফতারকৃতরা হলো ছোটন(২২), জেমস মোল্যা(১৯),জিন্নাত মোল্যা(২০)ও কালু মোল্যা(২৭।) আটক সেনাসদস্য রিপন মোল্যা যশোর ক্যান্টমেন্ট এর ডিপ হেডকোয়ার্টার এর অধীনে কর্মরত।
 
আটক সেনাসদস্য রিপন মোল্যা কে মঙ্গলবার সকালে যশোর ক্যান্টমেন্ট এর ৫৫ এমপি ইউনিট এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 
পুলিশ জানায়, কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউচ গ্রামে ২০ জুন রাত ২টার দিকে সেনাসদস্য রিপন মোল্যার বাড়িতে ৪ জন যুবক প্রবেশ করে। সে সময় ঘরে স্ত্রী, দুই কন্যা, একপুত্র সহ প্রতিবেশী এক কিশোর উপস্থিত ছিলো।
 
প্রবেশে বাধা দিলে মোবাইল ফোনে সেনা সদস্য ফোনে স্ত্রীকে  ধমকে তাদের ঘরে ঢুকতে নির্দেশ দেয়। এরপর দুই কন্যা ও পুত্রকে ঘর থেকে বের সেনাসদস্যের নির্দেশে স্ত্রী ও অপর কিশোরকে উলঙ্গ করে ফোনে ছবি তুলতে নির্দেশ দেয় সেনা সদস্য।
 
৪ যুবক মোবাইলে সেনাসদস্যের স্ত্রীর নানা ধরনের ছবি তোলে এবং একপর্যায়ে পালাক্রমে ৩জন ধর্ষন করে। এ ঘটনার পরদিন ২১ জুন সেনাসদস্য নিজ বাড়িতে ডাকাতির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। ২১ জুন রাত ১১ টায় সেনাসদস্যের স্ত্রী বাদী হয়ে কালিয়া থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করে (মামলা নং-৭/২১.০৬.২১)।
 
২১ জুন রাতে সেনাসদস্য সহ ৪ ধর্ষনকারীকে বিলবাউচ গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে যশোর ক্যান্টমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর ৫৫ এমপি ইউনিট থেকে একটি টিম কালিয়ায় আসে। রাতে পুলিশ ঐ সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। অন্য আসামীদের আদালতে প্রেরন করে। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা চলছে।
 
ধর্ষনের শিকার নারীর দাবী, রাতে তার স্বামীর নির্দেশে তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এরা সবাই তার স্বামী রিপন মোল্যার আত্নীয়।
 
আবাসিক,নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মশিউর রহমান বাবু বলেন, মঙ্গলবার দুপরে কালিয়া থেকে পুলিশের মাধ্যমে গনধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে এক নারী নড়াইল সদর হাসপাতালে আসে, তার শারীরিক পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষে বলা যাবে।
 
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, আসামীদের ধরা সম্ভব হয়েছে, আশাকরি ভিকটিম ন্যায়বিচার পাবে।
 
সেনা সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্য হলে নিয়ম অনুযায়ী যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় তাই করা হয়েছে।