বাড়িওয়ালার ছেলেকে অপহরণের পর হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

হাসান ভূঁইয়া, সাভার প্রতিনিধি জুন ৬, ২০২১, ১০:৫২ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বাড়ির মালিকের শিশু ছেলেকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি আরিফুল ইসলামকে দুই মাস পর পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার ভোরে পাবনা জেলার সুজানগর সদর থানার তারাবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের শিকার আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার কালাম মাদবরের নয় বছরের শিশু ছেলে রাজা মিয়া।  অপরাধী আরিফুল তাদের বাড়ির ভাড়াটে। গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে শিশু রাজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে তার বাবা কালামের মোবাইল ফোনে করে এক ব্যক্তি রাজাকে অপহরণের কথা জানায়। এসময় অপহরণকারীরা তার মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবী করে। বলা হয়, ওই ব্যক্তি রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ফোন করেছেন। এর পরপরই কালাম আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে যান। তখন এলাকার লোকজন তাকে ফোন করে বলেন, তার বাড়ির চারতলার ফ্ল্যাটে আরিফুলের বেলকনিতেই বস্তাবন্দী রাজার মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শিশুর বাবা।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ঘটনার দিনই হত্যার অভিযোগে আরিফুলের কথিত স্ত্রীকে লিজা আক্তারকে আটক করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই পলাতক ছিলেন আরিফুল। আরিফ ওই তরুণীকে মিথ্যা স্ত্রী পরিচয় দিয়েই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। গত দুই মাস ধরে সে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছিলেন। কখনও নারায়নগঞ্জ, কখনও গাজীপুর আবার কখনও মাওনা এলাকায় তার লোকেশন দেখাচ্ছিলো। প্রযুক্তির সহায়তায় সবশেষ পাবনায় তার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান সনাক্ত হই। পরে রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি।

তিনি আরও বলেন, আসামি আরিফুলের টাকা ও নারীর প্রতি প্রচণ্ড লালসা রয়েছে। এ কারণেই সে বাড়ির মালিকের ছেলে রাজাকে অপহরণ করে নিজ ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখে মুঠোফোনে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলো। তবে আরিফুল পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।

হত্যাকান্ডের সাথে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কি না এ জন্য আসামির রিমান্ড চাওয়া হবে। আজ দুপুরেই তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।