ওড়াকান্দিতে এবছরও হচ্ছে না স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা

সৈয়দ আকবর হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এপ্রিল ৮, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

গোপালগঞ্জঃ প্রতিবছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া সম্প্রদায়ের স্নান উৎসব এ উপলক্ষ্যে বারনি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ বছর ছিল ২১০তম হরিচাদ ঠাকুরের জন্ম উৎসব।

কিন্তু দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে  করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতবছরের ন্যায় এবছরও হচ্ছে না  মতুয়াদের বাৎসরিক স্নান উৎসব অনুষ্ঠান। করোনা সংক্রমন এড়াতে স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু যথারীতি ঠাকুরের জন্ম উৎসবকে কেন্দ্র করে পুজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।

ইংরেজী আঠারো শতকের গোড়ার দিকে  শ্রী শ্রী পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের আভির্ভাব ঘটে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে। সেখানে তার নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড ও ধর্মীর আদ্ধাতিক কর্মকান্ডের কারণে আস্তে আস্তে হারিচাঁদ ঠাকুরের আবাসস্থল ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে তির্থস্থান হিসেবে পরিগনিত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর হরিচাদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়িতে তিন দিনব্যাপী স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত আসছে। বাংলাদেশসহ ভারত, চিন, নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্তরা এ উৎসবে হাজির হয়।  

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ৯ এপ্রিল ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগম রোধের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসন স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার কারণে মতুয়া সম্প্রদায়ের পুর্ণার্থীদের আফসোস রয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত না হওয়ার মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তরা তাদের হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

গত ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হরিচাঁদ ঠাকুরের তির্থস্থান ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি ঘুরে যাওয়ায় এবছর স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা নিয়ে মতুয়া ভক্তদের মধ্যে আগ্রহ বেশি ছিল ।দেশ হতে সমস্ত অশনি দুর হয়ে দেশে আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতে ফিরে আসবে এবং প্রতি বছর আরো আনন্দের মধ্য দিয়ে তাদের ধর্মীয় কর্মকান্ড পালন করতে পারে এমটাই প্রত্যাশা মতুয়া ভক্তদের।

আগামীনিউজ/এএস