হল খোলার আনন্দে উচ্ছ্বসিত রাবি শিক্ষার্থীরা

মারজিয়া আকতার, রাবি প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০২১, ০৬:৪৪ পিএম
ছবি: আগামী নিউজ

করোনা মহামারীর দীর্ঘ দেড় বছর পরে হল খোলার আনন্দে উচ্ছ্বসিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) সকল শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৭ অক্টোবর)সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে হল খোলার কার্যক্রম শুরু হয়।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সতেরটি আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। হলের বৈধ শিক্ষার্থীরা আবাসিকতার কার্ড এবং করোনা টিকার প্রমাণপত্রের দুটি ফটোকপি জমা দিয়ে হলে প্রবেশ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী
ইতি আগামী নিউজ পোর্টাল কে বলেন দীর্ঘ দিন পর হলে ফিরতে পেরে অনেক আনন্দ হচ্ছে।সব পরিচিত মুখ গুলো আবার দেখতে পাচ্ছি ।সবার সাথে সাক্ষাৎ করে মনে হচ্ছে এই ক্যাম্পাস আবার যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ হাসান বিজয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, বেশ আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের হল কর্তৃপক্ষ বরণ করে নিয়েছে। দীর্ঘদিন পরে চিরচেনা হলে ফিরতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোবাররা সিদ্দিকা আগামী নিউজ পোর্টাল কে জানান শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই হলে প্রবেশ করছে৷ শিক্ষার্থীরাই হলের প্রাণ। তারা হলে ফেরাতে আমাদের নিজেরও ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীদের রুম দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় ভিতরে ময়লা জমে থাকাটাই স্বাভাবিক। আমি হলের আয়াদের বলে রাখছি শিক্ষার্থীদের রুম পরিষ্কারে সহযোগিতা করতে। এছাড়া যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা সচেষ্ট আছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, সকাল থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট এবং মাস্ক দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। আমার হলের ৫৯৮ জন আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় দুই'শ আবাসিক শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছে। হলে প্রবেশের পরে শিক্ষার্থীরা রুমে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তা দ্রুত সমাধানে আমরা তৎপর রয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. জুলকার নায়েন বলেন, সকাল থেকেই বেশ আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করেছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রতিটি হলে আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জোহা হলেও তিন শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন রুম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য হল ক্যান্টিন চালু হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে ডাইনিং চালু হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্যসহ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো পরিদর্শন করেছি। আমাদের প্রত্যাশা মতো শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অন্তত এক ডোজ করোনা টিকা নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে হলে প্রবেশ করেছে। যেসকল শিক্ষার্থী এর আগে টিকা নেয়নি আমরা তাদের জন্য টিএসসিসি'তে ২০হাজার টিকার ব্যবস্থা করেছি। ফলে শিক্ষার্থীরা সেখানে টিকা নিয়ে হলে প্রবেশ করতে পারছে। সেখানে দ্বিতীয় ডোজ টিকাও দেওয়া হচ্ছে। হল খোলার সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  হল কর্তৃপক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করছি।

আগামীনিউজ/ হাসান